মোট দেখেছে : 1,174
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

নাব্যতা সংকটের কারনে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে তিনদিন যাবৎ ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:


নাব্যত্য সংকটের কারনে গত শুক্রবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল।পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় রাজবাড়ীর চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুড়া ও পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জ নৌরুটে তিন দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি । এতে ভোগান্তিতে পরেছেন রাজবাড়ী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার কয়েক হাজার যাত্রী।  এর আগে নাব্য সংকটের কারনে গত নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ছিলো ঘাটটি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজবাড়ী কার্যালয়ের তথ্যমতে, ধাওয়াপারা-নাজিগঞ্জ নৌরুট তারাই তত্ত্বাবধান করে থাকেন। এই রুটে চলাচল করে ২ ফেরি, ২ লঞ্চ ও ১০ টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। এই সব নৌযান দিয়ে প্রতিদিন রাজবাড়ী থেকে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ পারাপার করা হয়। পারাপার করা হয়, যাত্রীবাহি বাস, এ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন।

রবিবার সকালে সরেজমিনে জৌকুড়া ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে শতাধিক যাত্রী নদী পারের অপেক্ষায় বসে আছে।

এ সময়পাবনার কয়েকজন যাত্রী বলেন, আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে এসেছিলাম। এখন ফেরার পালা ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ট্রলারের অপেক্ষায় বসে আছি।  নদীর বিভিন্ন স্থানে নাব্যতা এতই সংকট ট্রলারও বেধে যাচ্ছে। যে কারনে ঝুকি নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

অপর এক যাত্রী কুলসুম বেগম সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, প্রায় এক ঘন্টা বসে আছি। ট্রলার কখন ছাড়বে আমার জানা নেই।

ফরিদপুর থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আশা মাইক্রোবাসের চালক কামাল খান বলেন, আমি পেসেঞ্জার নিয়ে পাবনা যাচ্ছি। জৌকুড়া- নাজিরগঞ্জ নৌরুট বন্ধ থাকায় আমাকে কুষ্টিয়া জেলা ঘুরে যেতে হবে। অতিরিক্ত কমপক্ষে দুইশত কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে। এতে আমার দুই হাজার টাকার বেশি তেল খরচ হবে। দ্রুত ঘাটটি চালু হলে আমাদের বেশি উপকার হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজবাড়ীর প্রকৌশলী কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন জানান, পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় পল্টুনে ফেরি ভীরতে পারছে না। তাছাড়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নাব্য সংকট তীব্র হওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঘাটটি স্বাভাবিক হতে আরো অন্তত পাচদিন সময় লাগবে। আপাতত ক্রেন দিয়ে টেনে পল্টুন নীচে নামিয়ে ঘাট সচল রাখার চেষ্টা চলছে। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য’র হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারাদের নিয়ে সবার সমন্বয়ে মানুষের কষ্ট লাঘবে ঘাটটি দ্রুত সচল করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। আমরা ঘাটটি সচল রাখতে প্রয়োজনে বিআইডব্লিটিএর চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।


আরো দেখুন

আরও সংবাদ